সেন্ট-মার্টিন কি দ্বিতীয় ফকল্যান্ড হতে যাচ্ছে? বাংলাদেশ-মিয়ানমার যুদ্ধ!


আমি এই ব্যাপারটা চিন্তা করতে ভয় পাই যে,
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারনে দেশটিকে অস্তিত্বশীলতা তৈরি হয়েছে,জান্তারা সরাসরি ক্ষমতা দখল করেছে, প্রায় প্রতিদিনই জান্তা সরকার বিরুদ্ধী বিক্ষোভ হচ্ছে, প্রতিদিনই শত শত বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করছে মিয়ানমার জান্তা সরকার,, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে প্রচুর।
যার ফলসরূপ বেশিরভাগ বার্মিজ জনগনই সামরিক জান্তা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ....

যদি তারা অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠতে ও জনসমর্থন পাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠে... তাহলে বাংলাদেশই হতে পারে "বলির পাঁঠা" তা অনেকটা অনুমেয়..এমনিতেই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমাদের মধ্যে "সাপে নেওলে" সম্পর্ক। মিয়ানমার অনেকবার আমাদের সেন্ট-মার্টিন দ্বীপকে নিজেদের দাবী করে মানচিত্র প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ প্রতিবারই তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ কৌশলগত দিক দিয়ে মিয়ানমার থেকে পিছিয়ে,, বিশেষ করে দূর্বল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কারনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়ে তেমন ভয়ে থাকবে নাই মিয়ানমার।

মিয়ানমার যদি সেন্ট-মার্টিন আক্রমন করে দখল নেয়,,তাহলে মোটেও অবাক হব না। কারন জান্তা সরকার যদি সেন্ট-মার্টিন দখল করতে সফল হয় তাহলে সাধারন জনগনের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবে। যা জান্তা সরকারের সমর্থক বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

অতিশীঘ্র মিয়ানমার চতুর্থ প্রজন্মের রাশান অত্যাধুনিক সু৩০ যুদ্ধবিমান হাতে পেতে যাচ্ছে,, যা বাংলাদেশের জন্য আরো উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদি এমন কোন কিছু ঘটে তাহলে আমরা যে সেন্ট-মার্টিন হারাতে যাচ্ছি তা অনেকটা নিশ্চিত...বাংলাদেশ যদি কোন শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলার চেষ্টাও করে তাহলে তাদের পরবর্তি টার্গেট হতে পারে চট্টগ্রাম বন্ধর ধংস করে দেওয়া। যা আমাদের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
যার কারনে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলার আগেও হাজারবার ভাবতে হবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের।

ইতিহাসে উন্মাদ শাষকদের এমন উদাহারন অনেক আছে, যেমনঃ একই উদ্দেশ্যে ১৯৮১ সালে ফকল্যান্ড দ্বীপ আক্রমন করে আর্জেন্টিনা-ব্রিটেন যুদ্ধ আর্জেন্টাইন জান্তা সরকারই শুরু করেছিল।

Post a Comment

Previous Post Next Post