মার্কিন সামরিক নিষেধাজ্ঞা আইন CAATSA (section231)


মার্কিন সিনেট ২০১৭ সালের জুলাই মাসে CAATSA নিষেধাজ্ঞা আইন পাস করে। কোন রাষ্ট্র এর উল্লেখিত কোন ধারা ভঙ্গ করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই আইনবলে সেসব দেশের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট CAATSA এর আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে।

CAATSA(section231) মূলত রাশিয়ান ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিকে লক্ষ্য করে প্রণীত হয়। এই ধারা অনুযায়ী, রাশিয়ার ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির সাথে কোন দেশ 'সিগনিসেন্ট ট্রান্সজেকশন' করলে সেই রাষ্ট্রটিকে এই নিষেধাজ্ঞায় পরতে হতে পারে। এই ধারাই লেনদেনের কোন 'ইক্জেক্ট নাম্বার বা লিমিট' উল্লেখ করে নি, তাই এইখানে কিছুটা ধোঁয়াশা থেকেই যায় যে, কি পরিমাণ লেনদেন করলে এই আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। যেহেতু বর্তমান বিশ্বে অস্ত্রবাজার মাল্টিবিলিয়ন ডলারের বাজার, প্রায় প্রতিটি বড় চুক্তি কম হলেও $২-$৩ বিলিয়ন ডলার হয়ে থাকে। তাই আমার অনুমান $১বিলিয়ন বা তার বেশি লেনদেন করলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র এবং $১বিলিয়নের কম হলে নিষেধাজ্ঞা দিবে না।

বর্তমানে অমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, কিন্তু তারপরেও CAATSA নিষেধাজ্ঞা আইনের আওতায় চীনকে না রাখায়, এই আইনটি অমেরিকার স্বার্থ তেমন একটা সার্ভ করে বলে আমার মনে হয় না। মূলত CAATSA নিষেধাজ্ঞা এড়াতে বিদেশি রাষ্ট্রসমূহ রাশিয়ার অস্ত্র ক্রয় থেকে বিমুখ হবে, রাশিয়ার অস্ত্র বাণিজ্য রাশিয়ার কমে গেলে তা পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে তাদের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিসমূহের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে বিনিয়োগ কমাতে বাধ্য হবে ।

এর ফলে নতুন করে রাশিয়ার উত্থানের বিরুদ্ধে ইউরুপ নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবে, এবং এবং সাবেক রাশিয়ান ক্লাইন্টরা অস্ত্র চাহিদা পূরনের জন্য চীন ও ইউরুপের দিকে ঝুকে পড়বে। বিশেষ করে, সাবেক সোভিয়েত অস্ত্রের ক্রেতা রাষ্ট্রসমূহের বড় একটা অংশ চীনের দিকে ঝুঁকে পরবে। মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বিশ্বের অস্ত্রবাজারে নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

অন্যদিকে ইউরুপিয় দেশগুলার মধ্যে ফ্রান্স ডিফেন্স খাতে অনেকটা সতন্ত্র স্বকীয়তা বঝায় রাখে বিধায়, ইউরুপের অন্যান্য যেকোন দেশ থেকে ফান্সই বেশি লাভবান হচ্ছে। যা বর্তমান অস্ত্রবাজারে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ ও অন্যান্য সামরিক সরজ্ঞামের চাহিদা ও কেনাবেচা দেখেই খুব সহজে অনুধাবন করতে পারি।
তবে যেমনটা চীনের ক্ষেত্রে ধারণা করা হয়েছিল, চীন অস্ত্রবাজারে এখনো ততটা সাফল্যের মূখ দেখে নি চীন।

Post a Comment

Previous Post Next Post