আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে তর্কে বিতর্কে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশংসিত/সমালোচিত হয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বরাবরই বিশ্বে পরিচিত। যিনি ফিলিস্তিন ও বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে হুংকার দেওয়াতেও বরাবরই সরব থাকেন। যার কারনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মত দেশগুলোতে তার জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার ভক্তদের কারো কারো কাছে তিনি মুসলিম বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা আবার কারো কারো কাছে অ্যটোমান সম্রাজ্যের নতুন সুলতান। যার হাত ধরেই ওসমানি সম্রাজ্যের সোনালী দিনগুলো ফিরে পাওয়ার আশা করে থাকেন অনেকে।
![]() |
সম্প্রতি এরদোগান নেতৃত্বধীন তুরস্ক সিরিয়া, লিবিয়া, নাগোরনা কারাবাক ও ইরাক যুদ্ধে ঝড়িয়েছে। প্রতিটা যুদ্ধেই তুর্কি সমরাস্ত্রের ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মত। বলতে পারেন অনেকটা চোখে পড়ার মত করেই প্রচার-প্রচারনা চালানো হয়েছে। সাধারনত যুদ্ধে মিলিটারি অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ গোপনীয়তার স্বার্থে প্রকাশ করা হয় না, কিন্তু তুরস্ক লিবিয়া ও নাগোরনা কারাবাক ফ্রন্টে তুর্কি ড্রোন দিয়ে করা বিভিন্ন অপারেশন ক্লিপ পাব্লিকলি প্রকাশ করেছে যা স্পস্টতই বহিঃবিশ্বে নিজেদের সমরাস্ত্রের বাজার তৈরির চেস্টা ছাড়া আর কিছুই না।
যার কারনে অনেক এরদোগান ভক্ত তুর্কি ড্রোন নিয়ে যা-তা প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে যে, ইউক্রেনের বহরে থাকা ৬টি টিবি-২ রাশিয়ার জন্য মাথাব্যথার কারন, সৌদি আরব টিবি-২ ড্রোন কিনলে ইয়েমেনের হুতিরা ভয়ে গর্তে ডুকে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
যা দেখে আমি রীতিমতই অবাক হলাম তাই ঠিক করলাম বিষয়টা একটু পরিস্কার করা দরকার। বর্তমান বিশ্বে এখনো ড্রোন প্রযুক্তির ততটা উন্নয়ন সাধিত হয় নি যে, হাই থ্রেট এনভায়রনমেন্টে কমবেট ড্রোন এয়ারক্রাফটের মত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমান যুগের কমবেট ড্রোনগুলো মোটেও এয়ারক্রাফটের জায়গা দখলের সক্ষমতা রাখে না।
যা দেখে আমি রীতিমতই অবাক হলাম তাই ঠিক করলাম বিষয়টা একটু পরিস্কার করা দরকার। বর্তমান বিশ্বে এখনো ড্রোন প্রযুক্তির ততটা উন্নয়ন সাধিত হয় নি যে, হাই থ্রেট এনভায়রনমেন্টে কমবেট ড্রোন এয়ারক্রাফটের মত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমান যুগের কমবেট ড্রোনগুলো মোটেও এয়ারক্রাফটের জায়গা দখলের সক্ষমতা রাখে না।
সিরিয়া,লিবিয়া ও আজারবাইজান-আর্মেনিয়া(নাগোরনা কারাবাক) যুদ্ধে তুর্কি ড্রোনের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। এই তিন ফ্রন্টে বিশেষ করে (লিবিয়া এবং কারাবাক) ফ্রন্টে তুর্কি ড্রোনের সফলতাকে অনেকেই তুরস্কের ড্রোন বিপ্লব হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
তুরস্ক-সিরিয়া সংঘর্ষঃ
২০২০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে সিরিয়া আর্মড ফোর্স ও তুর্কিশ আর্মড ফোর্সের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, বেশ কয়েকবছর যাবত সিরিয়া যুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি হস্তক্ষেপ করে সিরিয়ার বেশ কিছু ভূমি অবৈধভাবে দখল করে আছে। সংঘর্ষে তুর্কি সামরিক বাহীনি এয়ারসাপোর্ট ও এয়ারস্ট্রাইকের জন্য TB-2 ও Anka ড্রোন ব্যবহার করে, টিবি-২ ও আংকা কমবেট ড্রোনকে সাপোর্ট দিতে F-16c যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে। তুর্কি তাদের F16c যুদ্ধবিমান দিয়ে সিরিয়ান বিমান বাহীনির দুইটি Su-24 এট্যাক যুদ্ধবিমান, একটি L-39 ট্রেনার যুদ্ধবিমান সুটডাওন করে এবং বিমান/ড্রোন হামলায় দুইটি pantasir S1 এয়ারডিফেন্স ধংস করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে সিরিয়ান এয়ারডিফেন্স ফোর্স Buk ও pantasir S1 এয়ারডিফেন্সের দ্বারা ৬টি তুর্কি নির্মিত TB-2 ও ২টি Anka ড্রোন সুটডাওন করে ।
অপরদিকে সিরিয়ান এয়ারডিফেন্স ফোর্স Buk ও pantasir S1 এয়ারডিফেন্সের দ্বারা ৬টি তুর্কি নির্মিত TB-2 ও ২টি Anka ড্রোন সুটডাওন করে ।
![]() |
লিবিয়াঃ
লিবিয়া গৃহযুদ্ধে LNA সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল আরব-আমিরাত অপরদিকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি প্রাপ্ত GNA সরকারকো সমর্থন দিয়ে আসছিল তুরস্ক। আরব আমিরাত LNA বাহীনিকে ডজনখানিক পেন্তাসির এয়ারডিফেন্স সিস্টেম ও GNA কে তুরস্ক কয়েক ডজন টিবি২ সরবরাহ করে। লিবিয়ায় টিবি২ এর সফলতাও বলতে আছে প্রায় ৭টি Pantasir-s1 ধংস করার ক্রেডিট।
তাই অনেকেই রাশিয়ার এয়ারডিফেন্সেরকে জাঙ্ক হিসেবে আখ্যায়িত করছে। আবার অনেকে অপারদর্শী বা অল্প প্রশিক্ষিত ওপারেটরদের দায়ী করছেন। সেই সাথে এয়ারডিফেন্সের মানসম্মত কার্যকারীতা নির্ভর করে এয়ারডিফেন্স নেটওয়ার্ক তৈরির উপর যা লিবিয়া যুদ্ধে মোটেও পরিলক্ষিত হয়নি বরং সিস্টেমগুলা স্ববতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়েছে।
অপরদিকে গোপনে থেকে টিবি২ কমবেট ড্রোনের সাপোর্ট হিসেবে ছিল Koral জ্যামার। যা পেন্তাসির সিস্টেমের লোকেশন ডিটেক্ট ও রাডার জ্যাম করার সকল তথ্য ড্রোন কমান্ডের কাছে সরবরাহ করে। অতপর জ্যাম হয়ে যাওয়া পেন্তাসির সিস্টেমের উপর ড্রোন দ্বারা স্ট্রাইক করে ধংস করা হয়।
পেন্তাসির সিস্টেম জ্যাম হয়ে যাওয়ায় পেন্তাসির সিস্টেমের ওপারেটররা রাডার সুইচ-অফ করে টার্গেট সনাক্তের জন্য Electro optical sensor ব্যবহার করে। যা অবজেক্টের তারমাল(Thermal) ও ইন্ফ্রারেডের(Infrared) সিগনেচারের মাধ্যমে টার্গেট সনাক্ত করে থাকে।
তাই অনেকেই রাশিয়ার এয়ারডিফেন্সেরকে জাঙ্ক হিসেবে আখ্যায়িত করছে। আবার অনেকে অপারদর্শী বা অল্প প্রশিক্ষিত ওপারেটরদের দায়ী করছেন। সেই সাথে এয়ারডিফেন্সের মানসম্মত কার্যকারীতা নির্ভর করে এয়ারডিফেন্স নেটওয়ার্ক তৈরির উপর যা লিবিয়া যুদ্ধে মোটেও পরিলক্ষিত হয়নি বরং সিস্টেমগুলা স্ববতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়েছে।
অপরদিকে গোপনে থেকে টিবি২ কমবেট ড্রোনের সাপোর্ট হিসেবে ছিল Koral জ্যামার। যা পেন্তাসির সিস্টেমের লোকেশন ডিটেক্ট ও রাডার জ্যাম করার সকল তথ্য ড্রোন কমান্ডের কাছে সরবরাহ করে। অতপর জ্যাম হয়ে যাওয়া পেন্তাসির সিস্টেমের উপর ড্রোন দ্বারা স্ট্রাইক করে ধংস করা হয়।
পেন্তাসির সিস্টেম জ্যাম হয়ে যাওয়ায় পেন্তাসির সিস্টেমের ওপারেটররা রাডার সুইচ-অফ করে টার্গেট সনাক্তের জন্য Electro optical sensor ব্যবহার করে। যা অবজেক্টের তারমাল(Thermal) ও ইন্ফ্রারেডের(Infrared) সিগনেচারের মাধ্যমে টার্গেট সনাক্ত করে থাকে।
যার কারনবশত পেন্তাসির ডিফেন্স সিস্টেমে ব্যবহৃত 1RS2-1E passive electronic scene array(PESA) রাডার যেখানে একসাথে ২০টি অবজেক্ট ডিটেক্ট ও ৪টি অবজেক্ট এঙ্গেজ করতে পারে সেখানে Electro optical sensor ডিটেক্ট ও এঙ্গেজ করতে পারে মাত্র ১টি অবজেক্ট। তাছাড়াও রেজ্ঞ, ডিটেকশন, এঙ্গেজমেন্ট ও ফায়ারকট্রোল সক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পায়। তারপরেও লিবিয়ায় তুরস্ককে ১৭টি থেকে ২০টি টিবি-২ কমবেট ড্রোন হারাতে হয়, যার মধ্যে কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৫+ ধংস pantasir S1 সিস্টেমের দ্বারা সুটডাওন করা হয়েছিল।
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষঃ
আজারবাইজান -আর্মেনিয়া যুদ্ধে ইসরাইলি ড্রোন ও তুর্কি এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। আজারবাইজান আর্মড ফোর্সের ড্রোন ফ্লিট প্রায়ই ইসরাইলি ড্রোনে ভর্তি। যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও জরুরি ভিত্তিতে অজানা সংখ্যক ইসরাইলি ড্রোন ও এয়ারডিফেন্স (Barak-8) ক্রয় করে আজারবাইজান ।
![]() |
২০১৯সাল পর্যন্ত ইসরাইল থেকে আজারবাইজানের ক্রয় করা ড্রোনের বিবরণীঃ সুত্র: Binkov's battlegrounds, you tube channel. |
তাছাড়াও আজারবাইজান তুরস্ক থেকে ডজনখানিক বায়রাক্তার TB-2 কমবেট ড্রোন ক্রয় করে।
কিন্তু আপনি প্রশ্ন করতে পারেন! তাহলে কেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের দেওয়া সাক্ষাতকারে বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের কথা বলেছিলেন বা কেনই বা আজারবাইজান তাদের জাতিয় প্যারেডে টিবি২ কমবেট ড্রোন প্রদর্শন করেছিল?
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনা কারাবাক নিয়ে যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানকে প্রধান মৃত্র হিসেবে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ডিপ্লোমেটিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়েছে এমনকি তুরস্কই যুদ্ধ পরিকল্পনার অন্যতম অংশীদার ছিল, যার কারন যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে আজারি ভূখণ্ডে তুরস্ক-আজারবাইজানের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্ক তাদের এয়ারফোর্সের F-16c ফাইটার জেট, AWACS ও EW এয়ারক্রাফট আজারবাইজানে মোতায়েন করে। যা যুদ্ধে আজারবাইজানকে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে অনেকটা সুপিরিয়র রেখেছিল।
কিন্তু আপনি প্রশ্ন করতে পারেন! তাহলে কেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের দেওয়া সাক্ষাতকারে বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের কথা বলেছিলেন বা কেনই বা আজারবাইজান তাদের জাতিয় প্যারেডে টিবি২ কমবেট ড্রোন প্রদর্শন করেছিল?
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনা কারাবাক নিয়ে যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানকে প্রধান মৃত্র হিসেবে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ডিপ্লোমেটিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়েছে এমনকি তুরস্কই যুদ্ধ পরিকল্পনার অন্যতম অংশীদার ছিল, যার কারন যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে আজারি ভূখণ্ডে তুরস্ক-আজারবাইজানের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্ক তাদের এয়ারফোর্সের F-16c ফাইটার জেট, AWACS ও EW এয়ারক্রাফট আজারবাইজানে মোতায়েন করে। যা যুদ্ধে আজারবাইজানকে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে অনেকটা সুপিরিয়র রেখেছিল।
যার সুত্র ধরে আমি বলব তুরস্কের বহিঃবিশ্বে সমরাস্ত্রের বাজার তৈরির যে পলিসি নিয়ে তারা এগোচ্ছে তার অংশ হিসেবে আজারবাইজান তার মৃত্রদেশ তুরস্কের বাজার তৈরির জন্য প্রচার-প্রচারনায় সহায়তা করেছে মাত্র। হয়ত আমার দাবীতে আপনি অবাক হতে পারেন কিন্তু এর উদাহারন আরো অনেক দেশের কার্যকলাপে প্রকাশ পাই। যুক্তরাষ্ট্রের মত ডিফেন্স টেকনোলজিতে সমৃদ্ধশালী দেশের ইসরাইলের নির্মিত এয়ারডিফেন্স (আয়রন ডোম), ও বিভিন্ন ধরনের ইসরাইলের নির্মিত ড্রোন নিজেদের বহরে রাখার কোন মানেই হয় না। মনে রাখবেন বাজারে আপনার সুনামই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ।
কিন্তু তাই বলে তুর্কি ড্রোনগুলো খারাপ মনে করার কোন কারন নেই। বিশ্বে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইসরাইল,ইরান ও তুরস্কই সবচেয়ে বেশি কমবেট ড্রোন উৎপাদন করে থাকে। ফাইটার এয়ারক্রাফট ব্যবহারের চেয়ে ড্রোন ব্যবহার স্বল্প খরচস্বাধ্য হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে এয়ার সুপিউরিটি নিশ্চিত হলেই ড্রোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু স্বসস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে তেমন কোন এয়ারফোর্স থাকে না, তাই স্বল্প খরচস্বাধ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ড্রোনের জনপ্রিয়তা বেশি।
কিন্তু তাই বলে তুর্কি ড্রোনগুলো খারাপ মনে করার কোন কারন নেই। বিশ্বে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইসরাইল,ইরান ও তুরস্কই সবচেয়ে বেশি কমবেট ড্রোন উৎপাদন করে থাকে। ফাইটার এয়ারক্রাফট ব্যবহারের চেয়ে ড্রোন ব্যবহার স্বল্প খরচস্বাধ্য হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে এয়ার সুপিউরিটি নিশ্চিত হলেই ড্রোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু স্বসস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে তেমন কোন এয়ারফোর্স থাকে না, তাই স্বল্প খরচস্বাধ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ড্রোনের জনপ্রিয়তা বেশি।
যার উদাহারন হিসেবে উল্লেখ করা যায়ঃ
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন যাবৎ আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া যুদ্ধে তালেবান, আইএসআইএস, আল কায়েদার মত বিভিন্ন স্বসস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, যার কারনে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন শিল্পে ব্যাপক হারে ব্যায় করেছে।
ইসরাইলও দীর্ঘদিন যাবৎ লেবানন, সিরিয়া ও গাঁজা হিজবুল্লাহ, হামাসের মত স্বশস্ত্র গেরিলা সংগঠনের বিরুদ্ধে। ইরানও নিজেদের ভূখণ্ডে বিভিন্ন স্বসস্ত্র সংগঠন, ইরাক ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে লিপ্ত আছে। তুরস্কও এই ধারার বাইরে নয়, তুরস্কও দীর্ঘদিন যাবৎ কুর্দি স্বাধিনতাকামী সংগঠন YPG এর বিরুদ্ধে সিরিয়া, ইরাকে যুদ্ধ করে চলেছে।
শুধু ব্যতিক্রম হলো চীন। সিরিয়া যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পর থেকে রাশিয়াও ড্রোন শিল্পে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।
সর্বোপরি হাই থ্রেড এনভায়রনমেন্টে কমবেট ড্রোনের ব্যবহার তেমন কার্যকরী সফলতা আনতে পারে না। সেটা যে দেশের কমবেট ড্রোনই হোক না কেন! তুরস্ক, ইরান,ইসরাইল, যুক্তরাস্ট্র, চীন সকল দেশের কমবেট ড্রোনের ক্ষেত্রেই আমার দাবীটা প্রযোজ্য কিন্তু লইটারিং ড্রোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যার কারনে এরদোগান ভক্তদের মাঝে তুর্কি ড্রোন নিয়ে যে প্রচার-প্রচারনা লক্ষ করা যায় তা একটু বেশিই অতিরঞ্জিত।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন যাবৎ আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া যুদ্ধে তালেবান, আইএসআইএস, আল কায়েদার মত বিভিন্ন স্বসস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, যার কারনে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন শিল্পে ব্যাপক হারে ব্যায় করেছে।
ইসরাইলও দীর্ঘদিন যাবৎ লেবানন, সিরিয়া ও গাঁজা হিজবুল্লাহ, হামাসের মত স্বশস্ত্র গেরিলা সংগঠনের বিরুদ্ধে। ইরানও নিজেদের ভূখণ্ডে বিভিন্ন স্বসস্ত্র সংগঠন, ইরাক ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে লিপ্ত আছে। তুরস্কও এই ধারার বাইরে নয়, তুরস্কও দীর্ঘদিন যাবৎ কুর্দি স্বাধিনতাকামী সংগঠন YPG এর বিরুদ্ধে সিরিয়া, ইরাকে যুদ্ধ করে চলেছে।
শুধু ব্যতিক্রম হলো চীন। সিরিয়া যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পর থেকে রাশিয়াও ড্রোন শিল্পে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।
সর্বোপরি হাই থ্রেড এনভায়রনমেন্টে কমবেট ড্রোনের ব্যবহার তেমন কার্যকরী সফলতা আনতে পারে না। সেটা যে দেশের কমবেট ড্রোনই হোক না কেন! তুরস্ক, ইরান,ইসরাইল, যুক্তরাস্ট্র, চীন সকল দেশের কমবেট ড্রোনের ক্ষেত্রেই আমার দাবীটা প্রযোজ্য কিন্তু লইটারিং ড্রোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যার কারনে এরদোগান ভক্তদের মাঝে তুর্কি ড্রোন নিয়ে যে প্রচার-প্রচারনা লক্ষ করা যায় তা একটু বেশিই অতিরঞ্জিত।