চাইনিজ বিমান বাহীনির এই J-16 যু্দ্ধবিমান আমার সবচেয়ে বেশি আগ্রহের কেন্দ্র। বলতে পারেন বর্তমানে এই যু্দ্ধবিমানই চাইনিজ এয়ারফোর্সের মূল মেরুদণ্ড।
২০১৩ সাল থেকে চাইনিজ বিমানবাহিনীতে J-16 যু্দ্ধবিমান সার্ভিসে আসে এবং বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৮০+ যু্দ্ধবিমান চাইনিজ বিমান বাহীনি বহরে যুক্ত আছে।
এই যু্দ্ধবিমানটা রাশিয়ান (সোভিয়েত) Su-27 Flanker যু্দ্ধবিমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে মার্কিন F-15 ও Su-35 যু্দ্ধবিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে, তবে রাশিয়ান Sukoi Su-35 Flanker যু্দ্ধবিমান থেকেও উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যু্দ্ধবিমান। যেহেতু এটি Su-27 যু্দ্ধবিমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে তাই এটিও ফ্লাংকার পরিবারেরই সদস্য।
এই বিমানটির ডিজাইনের শেইপটা দেখলেই বুঝবেন, Su35 যু্দ্ধবিমানের এয়ারফ্রেম থেকেও স্মুথ এবং J16 যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হয়েছে AESA রাডার, যেখানে রাশিয়ান Su-35 যু্দ্ধবিমান PESA রাডার ব্যবহার করে থাকে...যা J-16 যু্দ্ধবিমানকে Su35 এর উপর এগিয়ে রাখছে।
সাথে J16 যু্দ্ধবিমানের এয়ারফ্রেম পেইন্টিং এ ব্যবহার করা হয়েছে স্থিলথ কোটিং, যা বিমানটির রাডার ডিটেকশন সিগনেচার বহুলাংশে কমিয়ে দেন।
শুধুমাত্র ইন্জিনের পয়েন্টেই রাশিয়ান Su35 যু্দ্ধবিমান J16 থেকেও এগিয়ে আছে। Su35 যুদ্ধধবিমানের সুপারক্রুস ক্যাপাবিলিটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য।
সম্প্রতি চাইনিজ বিমানবাহিনীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ তথা কাউন্টারের একটা প্রবণতা চোখে পড়ার মত। যেমনঃ চীন J20 যু্দ্ধবিমান তৈরি করেছে মূলত মার্কিন F22 যু্দ্ধবিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে, J-10c যু্দ্ধবিমান তৈরি করেছে F16 যু্দ্ধবিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে, J-16 তৈরি করেছে F15 এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এবং মার্কিন F-18 growler এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সম্প্রতি J-16D ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার বেরিয়েন্ট উন্মোচন করেছে।
যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, চীনের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে রাশিয়ার মত চীনেরও ইন্টার্সেপ্টির এয়ারক্রাফটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কিন্তু অমেরিকাকে অনুসরণ করতে গিয়ে তারা নিজেদের এই প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারূপ করে নি।
যেহেতু অমেরিকা ও চীনের ভৌগলিক অবস্থান এক নয় তাই এই প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে চীনের ইন্টার্সেপ্টিং এয়ারক্রাফটের একটি প্রজেক্ট হাতে নেয়া উচিৎ।